
খুলনা মানেই চুইঝাল, আর খুলনাতে অলিতে গলিতে হোটেল রেস্টুরেন্ট এর ভিড় । মাটির হাঁড়িতে রান্না হচ্ছে গরুর মাংস । পানি ছাড়া শর্ষের তেল দিয়ে রান্না করা ওই মাংস বিক্রি হচ্ছে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ওজন করে । এই ব্যাতিক্রম আয়োজন এ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে খুলনা কিচেন এর মালিক মোঃ হিজবুল্লা । করোনাতে তার বিশাল রেস্টুরেন্ট বিজনেস চলে আসে শুন্যতে। রেস্টুরেন্ট বিক্রি করে ও দিতে হয় অভাব এর জন্য । বেকার ও ছিলেন কিছু বছর ,

তারপর এই ছোট দোকান নিয়ে শুরু করেন তার সংগ্রাম , খুলনা কিচেন এর মোঃ হিজবুল্লা জানান , আমি রান্না ভালো জানি আর মনোবল শক্ত করে শুন্য থেকে আবার শুরু করলাম , মাটির হাড়ি তে তার রাঁন্না গরুর মাংস খেতে এখন খুলনা তে আসেন হাজার হাজার ভোজন রসিক মানুষেরা। মোঃ হিজবুল্লা জানান আমি বাটা মসলা আর মা খালা রা যে ভাবে রান্না করে আমি সেই ভাবে রান্না করি , আমি গ্রাম এর ছেলে ছোট বেলায় মাটির হাড়ি এর রান্না হতো আমাদের গ্রাম এ , আর মাটির হাড়ি এর রান্না উপকারী খাবার খুব সুস্বাদু হয় , কাঠ এর জাল এর কম্বিনেশন এ আর কিছু বিশেষ টেকনিট এর জন্য মসলার স্বাদ মুখে লেগে থাকে , আমার কোনো সিক্রেট মসলা নাই , তবে আমি একটা টাইম ফলো করি কোন মসলা কোন টাইম এ দিতে হবে এটাই আমার সিক্রেট।

আর কেজি দরে বিক্রি এর উদেশ্য হলো আমি গরিব ঘর এর সন্তান ছিলাম , অনেকেই ২০০ টাকা দিয়ে ১ পিস্ গরুর মাংস কিনতে পারে না , আপনি ৫০ টাকার ও গরুর মাংস কিনতে পারবেন , আমার গোস এর হাড্ডি চর্বি নাই বললে চলে। চাইলে ওজন মাপার সময় আপনি নিজের ইচ্ছা মতো মাংস বেছে ও নিতে পারবেন , আমি মানুষ কে তৃপ্তি সহকারে এ খাওয়াতে চাই , আর আপনারা আসলে আমার দুটো পয়সা রোজগার হবে , এই রান্নায় কোনো পানি ব্যবহার করা হয় না , আর আমাদের মাংস একটু কম হাড্ডি , চর্বি ছাড়া , কেজিতে একটু দাম ও বেশি হয় ,

তাই আমি ১ কেজি রান্না করা মাংস ১২০০ টাকা বিক্রি করি , আপনারা আসবেন আমি খুশি হবো , একবার খেলে আপনার বার বার এই মাটির হাড়ি এর রান্না খেতে ইচ্ছা করবে , আর আমাদের খাবার সার্ফ করা হয় ভিন্ন ভাবে কয়লার আগুন এর উপর মাটির পাত্রে মাংস পরিবেসন করি , যার কারণ এ খাবার আপনি টেবিল এ বসে ও গরম পাবেন। আপনারা একবার হলে ও আসবেন। এই হোটেলে খেতে এসেছিলেন খালিশপুর এলাকার সুলতানা ম্যাডাম । তিনি বলেন, ‘মাংসের স্বাদ সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাটির হাঁড়ি ও কাঠের চুলায় রান্না হওয়ায় মাংসের স্বাদ যেন বেড়ে গেছে! সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, নিজের পছন্দমতো মাংস কিনে খেতে পারছি।

লোকেশন : ‘খুলনা কিচেন’। নগরের খুলনা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের (মন্নুজান স্কুল ,আর্ট কলেজ , বিদ্যুৎ অফিস ) এর পাশে ছোট বয়রা মেইন রোড এলাকায় হোটেলটি অবস্থিত। জোড়া গেট বা ২৫০ বেড হাসপাতাল এর এই দিক থেকে খুব সহজ এ এজি বাইক পাবেন। নগরের বেশ খানিকটা ভেতরে নিরিবিলি এলাকায় হলেও প্রতিদিনই শত শত মানুষ আসছেন মাংসের স্বাদ নিতে। ফুড ষ্টুডিও
Leave a Reply